প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সর্বশেষ খবর

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সর্বশেষ খবর জানতে পারবেন এই পোস্ট থেকে। প্রাথমিক শিক্ষকের পদসংখা বাড়ছে কি না, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে কি বলছে সবকিছু আলোচনা করা হবে। নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করার আগেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর।

পদস্নগখা বাড়িয়ে ৪৫,০০০ করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে এটি আর হচ্ছে না।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকা পদেই নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

 

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ ২০২২ নোটিশ

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত আজ শনিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ফল সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, কবে নাগাদ ফল প্রকাশ হবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

 

অধিদপ্তরের একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, ২০২০ সালে এই চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে শিক্ষক নিয়োগের কথা থাকলেও তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরে চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হয়। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ শূন্য থাকায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। তার ভিত্তিতে ওই পরিমাণ শিক্ষক বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজন কর্মকর্তার আপত্তির কারণে অতিরিক্ত ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কোনো কারণে তারা আপত্তি করলে ওই কর্মকর্তা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

 

প্রাথমিক ফলাফল সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, নভেম্বরের শুরুতে ফল প্রকাশ করা হবে। পরে মন্ত্রণালয় জানায়, দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে। তৃতীয় সপ্তাহ শুরু হলেও ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন প্রার্থী। অনেকে বলেছেন, তারা বেকার। এখন, তারা দ্রুত চাকরি পেলে, তাদের বেকারত্ব দূর হবে এবং তারা তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। শিগগিরই নিয়োগ সম্পন্ন করার দাবি তাদের।

 

বর্তমানে সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় চার লাখ শিক্ষক রয়েছেন। এই নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয় একবারই। লিখিত পরীক্ষায় প্রথম ধাপে ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই নিয়োগ পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী আবেদন করেন।

এই পোস্টের সুত্রঃ প্রথম আলো

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*